ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে শুক্রবার ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যার মধ্যে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং উপকূলীয় বন্দরও রয়েছে। ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা এই গোষ্ঠীর নেতাদের খুঁজে বের করে শিকারে পরিণত করবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “কিছুক্ষণ আগে... পশ্চিম উপকূল এবং অভ্যন্তরীণ ইয়েমেনে হুথি সরকারের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে যুদ্ধবিমান হামলা চালানো হয়েছে।”
ইসরায়েলে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লক্ষ্যবস্তুতে হিজাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামরিক অবকাঠামো সাইটগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা হুথিদের জন্য শক্তির কেন্দ্রীয় উৎস হিসেবে কাজ করে।
এটি জানিয়েছে যে তারা হোদেইদা এবং রাস ইসা বন্দরে সামরিক অবকাঠামোতেও হামলা চালিয়েছে।
হামলার পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হুথি তার দেশের উপর বারবার আক্রমণের জন্য শাস্তি পাচ্ছে। তিনি বলেন, "আমরা যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, হুথিকে আমাদের উপর তাদের আগ্রাসনের জন্য চরম মূল্য দিচ্ছে এবং তারা এখনও দিতে থাকবে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ইসরায়েল "হুথি সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাদের খুঁজে বের করবে।" "হোদেইদা বন্দর অচল হয়ে পড়েছে এবং রাস ইসা বন্দর আগুনে পুড়ে গেছে, কারও জন্য কোনও দায়মুক্তি থাকবে না।"
সানা নিয়ন্ত্রণকারী হুথি ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। তারা এই হামলাগুলোকে গাজার জনগণের সাথে সংহতির পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে।
ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলিকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং মাঝে মাঝে ব্রিটেনও ইয়েমেনে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুথি ইসরায়েলের দিকে প্রায় ৪০টি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যার বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে।
এই সময়ে ইসরায়েলে প্রায় ৩২০টি ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে হুথি। যার মধ্যে ১০০টিরও বেশি ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করার দাবি করেছে তেল আবিব।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল