রাশিয়ার জাহাজ থেকে তেল ছড়াচ্ছে সমুদ্রে। সমুদ্রের পানিতে ভেসে সেই তেল ক্রাইমিয়ার সমুদ্র সৈকতে এসে পৌঁছেছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুইটি ট্যাঙ্কার মাঝ সমুদ্রে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দু’টি থেকেই বিপুল পরিমাণ তেল বের হচ্ছে। যা সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাশিয়ার প্রশাসন জানিয়েছে, ক্রাইমিয়ার উপকূলে পৌঁছেছে সেই তেল।
যে দুটি ট্যাঙ্কার থেকে তেল বের হচ্ছে তাদের নাম ভলগনেফ্ট ২১২ এবং ভলগনেফ্ট ২৩৯। সব মিলিয়ে জাহাজ দু’টিতে নয় হাজার ২০০ টন তেল আছে। গত মাসে সমুদ্রে একটি ঝড়ের মুখে পড়েছিল জাহাজ দু’টি, তখনই জাহাজ দু’টি বিকল হয়ে যায়। জাহাজ দু’টির ভালোই বয়স হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রশাসন জানিয়েছে। এখনো পর্যন্ত বিকল জাহাজ থেকে তেল অন্য জাহাজে স্থানান্তরিত করা যায়নি। ফলে বিপুল পরিমাণ তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন জানিয়েছেন, একটি বড় স্বেচ্ছাসেবক দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তা তারা পর্যালোচনা করে দেখবে। সমুদ্র থেকে তেল পরিষ্কার না করলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১০ হাজারেরও বেশি মানুষ জলজ প্রাণীদের উদ্ধারের কাজে নেমেছেন বলে রাশিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে। পরিষ্কার করার চেষ্টা হচ্ছে বালিও।
৭৩ হাজার টন বালি সমুদ্র সৈকত থেকে তুলে ফেলা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রায় দুই লাখ টন বালির মধ্যে তেল মিশে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, একুশ শতকে কৃষ্ণ সাগরে এত বড় বিপর্যয় ঘটেনি। রাশিয়া এখনো পুরনো জাহাজ ব্যবহার করছে বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা অভিযোগ করেছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে ও মস্কো টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত