আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মেজর সিনহা হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। উচ্চ আদালতের স্বাধীনতার ওপর আমরা অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সেরা প্যানেল আইনজীবীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইন উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে নিয়ে লিগ্যাল এইড রোড শো ও লিগ্যাল এইড মেলার উদ্বোধন করেন আইন উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠান শেষে মেজর সিনহা হত্যা মামলার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যা একটা পাশবিক হত্যা ছিল। এতে আমরা সবাই বিচার চেয়েছি। এটাও বুঝতে হবে কোনো মামলা যখন উচ্চ আদালতে বা হাই কোর্টে থাকে তখন এটা সম্পূর্ণভাবে হাই কোর্টের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। এটা কার্যতালিকায় কত নম্বরে আসবে, কবে বিচার হবে, সেটা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে হাই কোর্ট ঠিক করে। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা রাখার অবকাশ নেই।’
তিনি বলেন, ‘কাউকে দোষী করার আগে ভালো করে জেনে করতে হয়। আপনাদের মতো আমিও আশা করি যাতে এটার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হয়। যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে যে সরকার ছিল তারা তো ছিল ফ্যাসিস্ট। তাদের তো কোনো নীতি ছিল না। তারা চিফ জাস্টিসকে পর্যন্ত গলা ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা সে সরকার না। উচ্চ আদালতের স্বাধীনতার ওপর আমরা অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল।’
ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার বিষয়ে গেজেট প্রকাশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ইশরাক হোসেনের গেজেট নোটিফিকেশন হবে কি না, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের মতামত জানার প্রয়োজন ছিল না (তাদের)।’
তিনি বলেন, ‘তবে নির্বাচন কমিশন আমাদের কাছে যখন মতামত নিতে পাঠিয়েছিল, আমরা সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি নির্বাচনি যে প্লেইন্ড আছে পরিবর্তন করা যায় না। ওটার ওপরে হাই কোর্টের রায় আছে।’
তিনি বলেন, ‘ইশরাক নাকি পরবর্তী সময়ে প্লেইন্ড পরিবর্তন করেছিলেন। সেজন্য আমরা দ্বিধান্বিত ছিলাম এটা কী গেজেট নোটিফিকেশন হবে নাকি আপিল করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন আমাদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করেনি। ওরা নিজেরা গেজেট নোটিফিকেশন করেছে। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’