সময়টা ভালো যাচ্ছে না মুশফিকুর রহিমের। চাপের মুখে ভেঙে পড়ছেন দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার। সিলেট টেস্টের উভয় ইনিংসে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। এখন প্রশ্ন উঠছে ৯৫ টেস্ট খেলা মুশফিকের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে। মুশফিকের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সফরকারী জিম্বাবুয়ের দীর্ঘদেহী পেসার মুঝাবানির গতির সঙ্গে লড়াই করে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন এবং দলকে টেনে নিয়ে গেছেন চতুর্থ দিনে। টাইগার অধিনায়ক হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলেন ৭ ইনিংস পর। তিনি সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন চেন্নাইয়ে গত সেপ্টেম্বরে। ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৮২ রানের ইনিংসটি। টাইগার অধিনায়কের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে তৃতীয় দিন পার করেছে। আজ চতুর্থ দিন ১১২ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামবে টাইগাররা। টাইগার অধিনায়কের সঙ্গে ২১ রানে অপরাজিত রয়েছেন ‘লোকাল বয়’ জাকির হোসেন অনিক।
১ উইকেটে ৫৭ রান তুলে দ্বিতীয় দিন পার করেছিল টাইগাররা। গতকাল দুই অপরাজিত ব্যাটার মাহামুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক আরও ১৬ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। দ্বিতীয় দিন দুবার জীবন পেয়েও জয় ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। সর্বশেষ ১৭ ইনিংসে জয়ের কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই। ৭৩ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৫ রান যোগ করেন মুমিনুল ও নাজমুল। মুমিনুল সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪৭ রানে। প্রথম ইনিংসে সাবেক অধিনায়ক খেলেছিলেন ৫৬ রানের ইনিংস। নাজমুল ৩৪ টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত রয়েছেন। ৬০ রানের ইনিংসটি খেলেন ১০৩ বলে ৭ চারে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মুঝারাবানি। সিলেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে এর আগে টেস্ট খেলেছিল ২০১৮ সালে। ওই টেস্টটি ছিল সিলেটের অভিষেক টেস্ট এবং জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় দিন শেষে টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে নাজমুল বাহিনী।