পপি-আদনান
২০২০ সাল থেকে খোঁজ নেই নায়িকা পপির। ছয় বছর অন্তরালে থাকার পর চলতি সপ্তাহে সন্তানসহ প্রকাশ্যে এলেন এই নায়িকা। জানা গেছে, ২০২০ সালেই গোপনে তিনি বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আদনানকে। ২০২১ সালের অক্টোবরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। বিয়ে করে পুরোদস্তুর সংসারী হন পপি। জানা গেছে, নায়িকা তাঁর সন্তানের নাম রেখেছেন আয়াত। সন্তানের বয়স প্রায় চার বছর। আর পপির স্বামীর নাম আদনান উদ্দিন কামাল। তিনি জান্নাত গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। রয়েছে জাহাজের ব্যবসা। তিনি লালবাগ কাজী রিয়াজ উদ্দিন রোডের বাসিন্দা। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে ধানমন্ডিতে বসবাস করছেন পপি। তবে এ মুহূর্তে নায়িকা খুলনায় অবস্থান করছেন।
শাকিব খান-অপু-বুবলী
শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এ জুটির প্রেম ও বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন কম হয়নি। বিয়ের পরও অস্বীকার করে আসছিলেন তাঁরা। তবে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল পুত্র আব্রাম খান জয়কে নিয়ে প্রকাশ্য আসেন অপু বিশ্বাস। ২০০৮ সালে তাঁরা গোপনে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জয়ের জন্ম হয়। এর পরের গল্প সবারই জানা। অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের আগেই চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান শাকিব খান। সে সময় তাঁদের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন উঠলে তা বন্ধুত্বের সম্পর্ক বলে উড়িয়ে দেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, বিয়ের কথাও অস্বীকার করেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শাকিব খান সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সবাইকে জানান তাঁর এবং শবনম বুবলীর সন্তান শেহজাদ খান বীর।
পরীমণি-রাজ
ছোট পর্দার নির্মাতা কামরুজ্জামান রনিকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন পরীমণি। বিয়ের আট দিন পর সেই খবর জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সম্পর্ক অবশ্য বেশি দিন টেকেনি। এরপর পরীমণি ও শরিফুল রাজ গোপনে বিয়ে করেন। মা হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বিয়ের ঘোষণা দেন। পুত্রসন্তানের মা হন আলোচিত এ চিত্রনায়িকা। এরপর তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও সবাই জানেন।
ওমর সানী-মৌসুমী
নব্বই দশকে ওমর সানী ও মৌসুমীর প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি তাঁদের বিয়ের কথা শোনা যাচ্ছিল। দুজনই বিষয়টি বারবার এড়িয়ে গেছেন। ১৯৯৬ সালে মাদ্রাজ থেকে খবর এলো মৌসুমী অন্তঃসত্ত্বা। মৌসুমীর বাবা বিয়ের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে জানিয়েছিলেন, ওমর সানীর সঙ্গে তাঁর মেয়ের অনেক আগেই বিয়ে হয়েছে। ১৯৯৫ সালে গোপনে বিয়ে করলেও ১৯৯৬ সালের আগস্টে তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠান করেন হোটেল শেরাটনে।
পূর্ণিমা-ফাহাদ-রবিন
নায়িকা পূর্ণিমা প্রথম বিয়ের মতো দ্বিতীয় বিয়ের কথাও গোপনই রাখতে চেয়েছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন, পেশায় দেশের বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ২০২২ সালের ২৭ মে পূর্ণিমা ও রবিনের দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। দেরিতে হলেও বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করে পূর্ণিমা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘কাজের সূত্র ধরেই তাঁর (রবিন) সঙ্গে পরিচয়। তিন বছরের পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে পরস্পরের মন দেওয়া-নেওয়া।’ এরপর নতুন জীবনে পূর্ণিমাকে শুভ কামনা জানান তাঁর সাবেক স্বামী আহমেদ ফাহাদ জামাল। ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালে কন্যা সন্তানের মা হন তিনি। বছর চারেক আগেই পূর্ণিমার ডিভোর্স হয়ে যায়।
শাবনূর-অনিক
শাবনূরের প্রেম-বিয়ে নিয়ে অনেক লুকোচুরি হয়েছে। তাঁকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে তাঁর সমসাময়িক একাধিক নায়কদের সঙ্গে।
২০১৩ সালে হঠাৎ শোনা যায় শাবনূর গোপনে তাঁর সহশিল্পী অনিকের সঙ্গে বিয়ের কাজটি সেরে নিয়েছেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তাঁদের ঘরে আসে পুত্রসন্তান আইজান। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
মিম-সনি
বিদ্যা সিনহা মিম ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর নিজের জন্মদিনে বাগদান সেরে সামাজিক মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তখন এ অভিনেত্রী জানান, তাঁর হবু বর সনি পোদ্দার একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। এর আগে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ইস্টার্ন ব্যাংকে চাকরি করেন। তার সঙ্গে মিমের ছয় বছরের সম্পর্ক। এক বান্ধবীর মাধ্যমে সনি ও মিমের পরিচয়। তারপর প্রেম।
মাহি-অপু-রাকিব
২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি। দুই পরিবারের সম্মতি থাকলেও হুট করেই বিয়ে করেন তাঁরা। দাম্পত্য জীবনের পাঁচ বছরের মাথায় মাহি তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন সময় মাহির প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা নিয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু জানায়নি মাহি। ফেসবুকে নানা ধরনের ছবি, স্ট্যাটাস দিয়ে একরকম ভক্তদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেন। বিচ্ছেদের পর গাজীপুরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। রাকিব নামের এ যুবকের বিষয়ে তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এ খবরটি একদমই সত্য নয়। রাকিব আমার একজন বন্ধু মাত্র।’ অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্য হয়। তবে পরে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা।