ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা গেল ৪০ জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৫৯ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ছয় জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয় জন ও সিলেটে দুই জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ১৬২ জন।
শহর থেকে গ্রামে এখন ব্যাপক হারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। বিশেষ করে মশক নিধন কার্যক্রম গ্রামাঞ্চলে চোখেই পড়ে না।
সম্প্রতি বরগুনায় একটা জরিপ করে আইইডিসিআর। মশার ঘনত্বের ওপরে পরীক্ষা করে জরিপে উঠে এসেছে, বরগুনা পৌরসভায় এডিস এলবোপিকটাস মশার ঘনত্ব ৪৭.১০। ঐ জেলার সদর উপজেলায় সূচকের মান ১৬৩.৪। তার মানে শহর থেকে একটু গ্রামে ভয়ংকর অবস্থা মশার বংশ বিস্তারে। সাধারণত সূচকের মান ২০ হলেই ধরা হয় মশার ভয়াবহ অবস্থা।
আইসিডিডিআরবি,র বিজ্ঞানী ড. মো. সফিউল আলম গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলেন, উপজেলা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিন্ডিংসহ আধুনিকতার ছাপ আছে। প্লাস্টিকের আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব সামগ্রীতে জমা পানি থেকে এডিস মশা বংশ বিস্তার করছে। শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছেন মানুষ, তাদের ডেঙ্গু হয়। গ্রামে যে মশা কামড়ায় তার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন শহর থেকে গ্রামে যাতায়াত আছে। মশা নিধন ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, দেশে দুটি মশা আছে। গ্রামাঞ্চলে এডিস এলবোপিকটাস মশা বেশি বংশ বিস্তার করে। আর সেখানে বংশ বিস্তারের সব ব্যবস্থা আছে। যেহেতু সূচকের মান ২০ হলে ভয়াবহ ধরা হয়, সেখানে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটাকে ভয়ংকর অবস্থা বলা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন