এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম অনুষ্ঠিত হল ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি। মাস উপলক্ষে পেশেন্ট ফোরাম, ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতামূলক র্যালি, গোলাপি গ্যাস বেলুন, কবুতর, ব্যানার, পিংক রিবন ও ক্যাপ নিয়ে হাসপাতালের প্রাঙ্গণে রঙিন ও প্রাণবন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে নারীদের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও সার্বিক স্তনস্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসপাতালের মেডিকেল ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ, কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর (রেডিওথেরাপি সার্ভিস) ডা. তানভির আহমেদ, কনসালটেন্ট ডা. হাসনিনা আক্তার, এ্যাটেন্ডিং কনসালটেন্ট ডা. নয়ন ভৌমিক, সানশাইন এডুকেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মিসেস শাফিয়া গাজী, এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার সামীর সিং সহ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট, নার্স ও রোগী।
স্বাগত বক্তব্যে সামীর সিং বলেন, ‘এ ধরনের ফোরাম ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সবাইকে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে ভালোভাবে জানাতে চাই, যাতে রোগটি প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করা যায় এবং রোগী ও তাদের পরিবারের পাশে থাকা যায়।’
শাফিয়া গাজী বলেন, ‘যখন আমরা সবাই মিলে শিক্ষা, সহায়তা ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে একে অপরকে শক্তিশালী করে তুলি, তখন নারীরা নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন, যা তাদের জীবন বাঁচাতে পারে।’
প্রফেসর ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘আধুনিক রোগ নির্ণয় প্রযুক্তি ও পার্সোনালাইজড কেয়ার এর সমন্বয়ে আমরা রোগীর চিকিৎসার ফলাফল অনেক উন্নত করতে পারি এবং তাদের একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ দিতে পারি।’
ডা. তানভির আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসার সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত থাকলে প্রতিটি রোগীর জন্য তার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক যতœ নিশ্চিত করা যায়।’
ডা. হাসনিনা আক্তার বলেন, ‘চিকিৎসা শুধু শারীরিক বিষয় নয়, মানসিকভাবে সহায়তাও রোগীর সুস্থতার পথে বড় ভূমিকা রাখে।’
পেশেন্ট ফোরামে পেশেন্ট স্টোরি পর্বে ব্রেস্ট ক্যান্সার জয়ী নারীরা তাদের সাহস ও লড়াইয়ের গল্প শেয়ার করেন। এসব গল্প উপস্থিত সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। এরপর ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ব্রেস্ট হেলথ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক
