রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার নাইল্যাছড়ি মাঝের পাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে মো. মামুন (৩৮) নামে এক পোলট্রি ব্যবসায়ীর দ্বিখণ্ডিত ও বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মামুন রাঙামাটির কাউখালীর সুগারমিল আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা এবং আলী আহম্মেদের একমাত্র ছেলে। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ ওই এলাকায় বসবাস করতেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মামুনের কর্মচারী মো. কামরুল হোসেন (২৪), তার স্ত্রী রিয়া আক্তার সাথী (১৯) এবং সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেনকে (২১) আটক করেছে।
জানা গেছে, গত ৭ জুলাই দুপুরে মামুন রাউজান যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হলে আর ফিরে আসেননি। পরদিন ৮ জুলাই তার স্ত্রী সীমা আক্তার কাউখালী থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
এরপর রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. এস. এম. ফরহাদ হোসেনের দিকনির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাদিরা নূর ও কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু হয়। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ পুলিশ দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামুনের কর্মচারী কামরুলের অবস্থান শনাক্ত করে লক্ষ্মীপুর জেলার ভবানিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল স্বীকার করেন, ৭ জুলাই সন্ধ্যার পর চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে মামুনকে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ টুকরো করে নাইল্যাছড়ি মাঝের পাড়ার একটি পাহাড়ি স্থানে পুঁতে রাখা হয়। এই কাজে তার স্ত্রী রিয়া ও সহযোগী আনোয়ার অংশ নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হবে এবং রিমান্ডে এনে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। মামুনের স্ত্রী বাদী হয়ে কাউখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরও তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ/মুসা