নরসিংদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে ১ জনকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছে আরো ১জন। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে নাগরিয়াকান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম জুনায়েদ হাসান (২৫)। নরসিংদী শহরের নাগরিয়াকান্দী এলাকার মো. জালাল উদ্দীনের ছেলে তিনি। এছাড়া আহত ব্যক্তির নাম মাসুম মোল্লা। তিনি একই এলাকার সামসু মোল্লার ছেলে।
হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বুধবার বিকেল ৬টার দিকে নাগরিয়া কান্দী এলাকায় মাসুম মোল্লা ও হায়দার মিয়ার দুই ছেলে খেলা করছিল। দুই শিশুই খেলার সময় ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মাসুম ও হায়দার ঘটনাস্থলে এসে নিজেরাও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজিত হায়দার পড়ে থাকা একটি লাঠি দিয়ে মাসুমের মাথায় আঘাত করে বসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুমকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর রাত ৯টার দিকে বাড়ি নেওয়া হচ্ছিল তাকে। কাউরিয়া ঈদগাহ এলাকা অতিক্রমের সময় আগেই উৎ পেতে থাকা হায়দার পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মাসুমের ওপর পুনরায় হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কোপানো হয়। পুনরায় নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। এদিকে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় মাসুমের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা দৌঁড়ে গিয়ে জুনায়েদ হাসান নামে একজনকে ধরে ফেলেন। ওই সময় তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান তারা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়াও আহত ব্যক্তির চিকিৎসার খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এএম