বগুড়ায় এবার প্রায় ১ হাজার ৮০৩টি ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
বগুড়া শহরের সুত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ এবং সোনাতলা উপজেলার হুয়াকুয়া ঈদগাহ মাঠে জেলার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, সকাল ৮টায় বগুড়ার কাহালু উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওছার হাবীবসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এখানে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
একই সময়ে কাহালু কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শাইখ মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।
কাহালু থানা মাজার ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হান্নানসহ থানার পুলিশ সদস্যরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
উলাহাট্র ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ মো. আব্দুল মান্নান, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আনিসার রহমান আনিস এবং সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হাফিজার রহমান বাবু এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এছাড়াও বগুড়া জেলায় মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
প্রথমবারের মতো বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নারীদের জন্য ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করেন।
এবার জেলার মোট ১ হাজার ৮০৩টি ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সুত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এটি বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ মাঠ, যেখানে জেলার সর্বস্তরের জনগণ নামাজ আদায় করেন।
জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে আল্লাহর রহমত, দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
হুয়াকুয়া ঈদগাহ মাঠের মুসল্লি পিন্টু মণ্ডল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, "আমাদের ঈদগাহ মাঠে পাকুল্লা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন।"
বিডি প্রতিদিন/আশিক