দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মামলায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে শাহীন চাকলাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশও দেওয়া হয়।
আজ বুধবার যশোরের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের স্পেশাল পিপি মো. সিরাজুল ইসলাম রায়ের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী আব্দুল কাদির সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুনেছি দুদকের মামলায় শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে এমন একটি রায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারছি না’।
দুদক যশোরের উপ-পরিচালক মো. আল-আমিন বলেন, দুদকের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে তিনি এ রায়ের বিষয়ে অবহিত হয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
দুদক সূত্র জানায়, ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করায় ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শাহীন চাকলাদারের ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ও দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য ছিল।
সম্পদ বিবরণীতে শাহীন চাকলাদার উল্লেখ করেছিলেন, তার মোট সম্পদ এক কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার চারশ’ টাকা, যার মধ্যে এক কোটি এক লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে মামলা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ