পাবনায় অসময়ে রাক্ষুসে রূপ ধারণ করেছে যমুনা নদী। ভাঙন শুরু হওয়ায় পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর, মাসুমদিয়া ও রূপপুর ইউনিয়নের নদীপাড়ের বাসিন্দারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এক মাসে অন্তত ২০টি বাড়িঘর ও শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন এসব পরিবার। ঝুঁকির মুখে রয়েছে আরও হাজারো পরিবারের বসতবাড়ি, কৃষি জমি, মসজিদ ও বিদ্যালয়। স্থানীয়রা জানায়, পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার কাজিরহাটের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দাশপাড়া মৌজা পর্যন্ত যমুনা নদী শাসনের আওতামুক্ত ৬-৭ কিলোমিটার এলাকা নদীভাঙনের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার পরিবারের বসবাস, যার ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। ধান, পাট, ভুট্টা, সরিষা, সবজি, কলা ও বিশেষ করে মাসকলাই চাষ করেন এই এলাকার কৃষকরা। দেশের প্রায় ২০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে, এই এলাকার ফসল। কিন্তু নদী শাসন না থাকায় প্রতি বছর ভাঙনে ব্যাপক এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কৃষিজমি হারিয়ে জীবিকা সংকটে পড়ছেন মানুষ। তারা বলছেন, দাশপাড়া পর্যন্ত শাসনপয়েন্ট থেকে পূর্ব দিকে নদী শাসন সম্প্রসারণ করা গেলে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। পাশাপাশি আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ ৮ কিলোমিটার কমে যাবে, যা যমুনা সেতুর চাপও হ্রাস করবে। সম্প্রতি ওই এলাকায় গেলে কথা হয় কৃষক আবু হানিফ শেখের স্ত্রী শেফালী আক্তার বানুর সঙ্গে। তিনি জানান, তিন বছরে তিনবার তাদের বসতঘর যমুনার গর্ভে চলে গেছে। এবারও একই আশঙ্কায় দিন কাটছে। গত কোরবানির ঈদের দিন নদীতে অনেকের বাড়ি ভেঙে গেছে। ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে নদীভাঙন। এরপর থেকেই ভয়ে আছেন কখন আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হয়। কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বয়সে তিনি অন্তত চারবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছেন। এখন যেখানে বসবাস করছেন, কয়েক বছর আগে সেখান থেকে নদী ছিল প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। ভাঙতে ভাঙতে নদী তার দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ও স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে তবেই মানুষ বাঁচবে। কাজীরহাট ঘাটের পাশের জোসনা খাতুন বলেন, সন্তান আর গবাদিপশু নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক মাসে অন্তত ২০টি বাড়িঘর ও শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে অনেক বসতবাড়ি, একটি মসজিদসহ হাজার খানেক পরিবার। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিরোনাম
- ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
- একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
- ঢাকার বাতাসে মাঝারি দূষণ, কলকাতার অবস্থা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- মুমিনের বিপদ-আপদ পাপমোচনে সহায়ক
- কষ্টার্জিত জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু পাকিস্তানের
- বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
- হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে আত্মসমর্পণ স্বামীর
- উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
- সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
- খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
- মেডিক্যাল শিক্ষকদের মূল বেতনের ৭০ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা
- বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
- বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
- ঢাবিতে সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪০৩ জনকে শোকজ
- দুই দল যা-ই বলে, সরকার তা-ই করে : মির্জা আব্বাস
- পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
- ইরাক আগ্রাসনের ‘মূল হোতা’ সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের মৃত্যু
- তরিকুল ইসলাম ছিলেন দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি: তৃপ্তি
পাবনা
অসময়ে রাক্ষুসে রূপে যমুনা
হাজারো পরিবার দিশাহারা
সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়
প্লে স্টোরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং পেল বাংলালিংকের ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ’
৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার