পাওনাদারের চাপ সইতে না পেরেই প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ শহরের ভূঁইয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫)। সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানরও। প্রথমে স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম (২৪) ও চার বছরের ছেলে আফরানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে পাশের রুমে গিয়ে নিজেও গলায় ফাঁস নেন। এমনটাই ধারণা করছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, পাওনাদারের চাপেই তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, অভাব-অনটনের কারণে হয়তো সে প্রথমে তার স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে পাশের রুমে গিয়ে নিজেও গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় পলাশ ভূইয়ার বাড়ির চার তলার একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ভূঁইয়াপাড়া বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা তমাল আহম্মেদ বলেন, শিপলু দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করছে। আমরা তাকে চিনতাম একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে। যার মালিক ছিলেন রমজান আলী। সবাই বলেন, সমিতির টাকা নিয়ে রমজান আলী পালিয়েছেন। যারা টাকা পান সবাই শিপলুকে ধরতেন। টাকার জন্য তাকেই চাপ দিতেন। এ নিয়ে শিপলু হতাশাগ্রস্ত ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়তো সেই চাপ আর নিতে পারেনি। শিপলুর পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা নাসিমা আক্তার বলেন, সমিতি বন্ধ হওয়ার পর লোকজন যারা টাকা পেতেন তারা অনেক ঝামেলা করতেন। স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দির বাসিন্দা হলেও শিপলু এ এলাকাতেই বড় হয়েছেন। বউবাজারে ‘সম্মিলিত সঞ্চয় তহবিল’ নামে একটি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক ছিলেন। করোনা মহামারির সময় পরিচালক রমজান আলী গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।