মেহেরপুরে সম্প্রতি অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত পাঁচ মাসে আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা এবং অজ্ঞাত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। বিশেষজ্ঞরা এ প্রবণতার পেছনে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, পারিবারিক অস্থিরতা এবং সামাজিক চাপকে দায়ী করছেন। জানা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায়ই নিহত হয়েছেন ৪০ জন। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ২০টি। এ ছাড়া পানিতে ডুবে সাতজন, পারিবারিক সহিংসতায় আটজন এবং ভবন ধসে এক ভিক্ষুকের মৃত্যু হয়েছে। আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে মৃত্যু ও পারিবারিক সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলছে নাগরিক নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিয়ে। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৪৫টি অস্বাভাবিক মৃত্যু রেকর্ড রয়েছে। এর মধ্যে মে মাসে শুধু সড়ক দুর্ঘটনায়ই প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। প্রভাষক হারুনার রশিদ রবি বলেন, অপমৃত্যু বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে কিশোর ও তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, মানসিক চাপ, হতাশা, অর্থনৈতিক টানাপড়েন ও সামাজিক অবক্ষয়। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারুক হোসেন বলেন, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মেহেরপুরে ৭৬ জনের অপমৃত্যু হয়েছে। এগুলো রোধের জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা, সড়কের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করা। মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে তুলেছি। এটা একটা সম্মিলিত সমস্যা।
বিআরটিএ, সড়ক বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সবারই এ বিষয়ে কর্ম ক্ষেত্র রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট সড়কে মোবাইল কোর্ট বসাতে পারে। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যু রোধে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করতে না চাওয়া।’