সরকারি নিয়মনীতি না মেনেই চলছে জয়পুরহাটের বেশির ভাগ ইটভাটা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভাটা এলাকার ফসলি জমি, গাছপালা ও পরিবেশ। কালো ধোঁয়ায় দুর্বিষহ জনজীবন। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাট-বাজারসহ সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পাশে বা ফসলি জমিতে ইটভাটা করা যাবে না। এ আইনের বাস্তবায়ন নেই জয়পুরহাটে। জেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ৪৭টি ভাটা। এর বেশির ভাগের নেই লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র। অভিযোগ আছে, ভাটামালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় জেলাজুড়ে দেদার চলছে অবৈধ ভাটা। কোনো কোনোটিতে শিশু শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে। পোড়ানো হচ্ছে গাছ। ভাটার কালো ধোয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার কারণে নষ্ট হচ্ছে আশপাশের গাছপালা, ফল-মূল ও ফসল। সদর উপজেলার তাজপুর গ্রামের ললিত নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ইটভাটার কারণে বাড়ির গাছপালার পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে ফসলেরও।’ একই গ্রামের জয়ন্তী নামে একজন বলেন, ‘ভাটার কার্যক্রম যখন শেষের দিকে তখন বিষাক্ত ধোঁয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে ফলমূল ও জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়।’ বেলআমলা গ্রামের আরিফ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। ভাটার মাটিবোঝাই ট্রাক্টর চলাচলের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে সড়ক। আমাদের চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হয়।’ নিয়ম মেনে ভাটা চলছে কি না জানতে চাইলে সদর উপজেলার তাজপুর এলাকার ভাটা মালিক আফতাব আলী কথা বলতে রাজি হননি। পুরানাপৈল এলাকার ভাটা মালিক লেবু হাজী বলেন, ‘নিয়ম মেনেই আমরা ভাটা পরিচালনা করছি।’ জয়পুরহাট ইটভাটা মালিক সমিতি ও জেলা চেম্বার সভাপতি আবদুল হাকিম ম ল বলেন, ‘আমরা সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিই। এ জন্য জেলায় অবৈধ কোনো ইটভাটা নেই। সব ভাটাই বৈধ।’ পরিবেশ অধিদপ্তর জয়পুরহাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন জনিনি, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল-ক্লিনিকের পাশে ও কৃষি জমিতে ইটভাটা গড়ে তোলা যাবে না। জয়পুরহাটের ৪৭টি ভাটার মধ্যে ৩০টিরই পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন নেই। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী বলেন, ‘নীতিমালার আলোকে জেলা প্রশাসন ইটভাটার লাইসেন্স দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে পরিবেশ ছাড়পত্র থাকতে হবে। জেলা প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন কোনো লাইসেন্স অনুমোদন করেনি। যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী কেউ লাইসেন্সের আবেদন করলে তদন্তসাপেক্ষে নীতিমালা অনুযায়ী হলে অনুমোদন করা হবে। অবৈধ ইটাভাটার লাইসেন্স ইস্যুর কোনো প্রশ্নই আসে না। এসব ভাটার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
শিরোনাম
- সম্পত্তির জন্য বাবাকে বেঁধে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন
- এই সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
- জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে
- দেশে নতুন সংকট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে : নুর
- বাংলাদেশ নামের পরিবর্তন নয়, প্রজাতন্ত্রকে ‘জনকল্যাণ’ করার প্রস্তাব
- পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে হবে বিদেশী আইনে: গভর্নর
- সাভারে দুই চলন্ত বাসে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি
- প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: গোলাম পরওয়ার
- হার্ভার্ডের পাশেই বিলাসবহুল যৌনপল্লি, গ্রেফতার ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনুরাগ
- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
- কারাগারে পাঠানো হলো ‘ক্রিম আপা’কে
- পিএসএলে আজ রিশাদদের ম্যাচ, সুযোগ পাবেন কি এই লেগস্পিনার?
- ‘শাহরুখ থাকতে আমি আর কে! গানগুলো ও নিজেই গেয়েছে’
- দূষণবিরোধী অভিযানে ৬৪৮ ইটভাটা বন্ধ
- আমার কাছে বিয়ে এখন অনেক দূরের ব্যাপার: তৃপ্তি দিমরি
- পিএসএলে ৮ কোটির প্রাইজমানি ঘোষণা
- পাঁচ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস
- ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে জরুরি ৫ নির্দেশনা
- গৃহপরিচারিকার সঙ্গে প্রেম ছিল ওম পুরীর!
- সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ ‘চোর’ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিপু : সিদ্দিকী নাজমুল
অবৈধ ইটভাটার ছড়াছড়ি
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি গাছপালা পরিবেশ দুর্বিষহ জনজীবন
শামীম কাদির, জয়পুরহাট
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর