ইসরায়েলের সব পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম। একইসঙ্গে বাংলাদেশি পণ্য ব্যবহার করে গাজাবাসীর জন্য আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বর্বর ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় নির্বিচারে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমবেদনা’ শীর্ষক সংহতি সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
সংহতি সমাবেশে উপাচার্য বলেন, মাসের পর মাস বর্বরোচিত গণহত্যা চলছে। দেরিতে হলেও আমরা এর প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছি। আমরা এখান থেকে কিছুই করতে পারছি না। আমাদের দোয়া যদি মহান আল্লাহ কবুল করেন, তাহলে হয়ত তাদের দুর্দশার সমাপ্তি হবে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করেছি। আমাদের সরকারের প্রতি আহ্বান, বাংলাদেশ থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করতে হবে। আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করছি, ইসরায়েলি সকল পণ্য বর্জন করছি।
বিক্ষোভ সমাবেশে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কেএম রাকিব বলেন, আমাদের এখন বক্তব্য দেওয়ার সময় নেই। আমরা অনেক সমবেদনা, একাত্মতা দেখেছি। আমাদের এখন অ্যাকশনে চলে যেতে হবে। আমাদের মুসলিমদের একত্রিত হতে হবে। আমেরিকার অ্যাম্বাসি ঘেরাও করে লাভ নেই। আমাদের মুসলিম দেশগুলোকে জাগাতে হবে।
জবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আজ কোথায় সেই মুসলিম উম্মাহ? কোথায় মুসলিম দেশগুলো? কোথায় মুসলিম নেতারা? বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশকে শক্তিশালী হতে হবে। আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। এমন অবস্থানে যেতে হবে যাতে আমাদের আর কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়... সেটি অস্ত্র হোক বা কোনো পণ্য।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষিত গ্লোবাল স্ট্রাইকের ‘নো ওয়ার্ক, নো ক্লাস’ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। জোহরের নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে এ মিছিল বাহাদুর শাহ পার্ক, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতিবাজার মোড় ঘুরে ক্যাম্পাসে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সমাবেশে শিক্ষক কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ