সার্বিয়ান কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচের বয়স হয়েছে ৩৭ বছর। বেশি দিন যে খেলবেন না সেটার আগাম ইঙ্গিতই হয়তো দিয়ে দিলেন তিনি। মাদ্রিদ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইতালির মাত্তেও আরনালদির কাছে পরাজিত হওয়ার পর, তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, হয়তো এটি ছিল তার মাদ্রিদ ওপেনে শেষ অংশগ্রহণ।
টুর্নামেন্টের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ শনিবার ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারেন আরনালদির কাছে। এর আগে তিনবার (২০১১, ২০১৬, ২০১৯) মাদ্রিদ মাস্টার্সের শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ। এবার বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ৪৪ নম্বরে থাকা আরনালদির বিপক্ষে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের লড়াইয়ে পরাজিত হন।
এই পরাজয় তার টানা তৃতীয় হার এবং চলতি মৌসুমে প্রথম রাউন্ড থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বিদায়ের হতাশা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত নই যে ভবিষ্যতে মাদ্রিদে ফিরে আসবো কিনা। সম্ভবত এটি ছিল আমার শেষ মাদ্রিদ ওপেন।”
এই বছরেই মায়ামি ওপেনেও অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয়েছেন জোকোভিচ, পরে মন্তে কার্লোতেও দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নিয়েছেন। টানা তিনটি পরাজয়ের পর তিনি জানান, “এভাবে হারলে তো ভালো লাগবে না, তবে কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে এই বছর যেখানে প্রথম রাউন্ডেই হেরে গেছি।”
তবে, মাদ্রিদে নিজেকে উপভোগ করার কথাও বলেছেন তিনি, যদিও তিনি মানছেন, তার আগের টেনিস পারফরম্যান্স আর নেই। “এখন যে মানে আমার টেনিস থাকার কথা, সেখানে তা নেই। তবে আমি ভালো খেলোয়াড়ের কাছে হেরেছি, আর এটি বাস্তবতা।”
২০০৬ সালে মাদ্রিদ ওপেনে প্রথম অংশগ্রহণের পর, তিনি এখানে তিনটি শিরোপা জিতলেও, এবার মনে হচ্ছে এটি তার শেষ ম্যাচ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, “হয়তো আমি আবার ফিরবো, কিন্তু হয়তো একজন খেলোয়াড় হিসেবে নয়। আমি আশা করি না, তবে কিছুই বলা যায় না।”
গত বছর বড় চারটি টুর্নামেন্টের মধ্যে তিনটি জয়লাভের পর, জোকোভিচ ২০২৫ সালে তার পুরোনো ফর্ম ফিরে পাননি। ইয়ানিক সিনার এবং কার্লোস আলকারেজের কাছে শিরোপা চলে যাচ্ছে, তবে তিনি নিজেই তা স্বীকার করেছেন, “এটি নতুন বাস্তবতা। এখন ম্যাচ জেতার জন্য লড়ছি, আর বেশি দূর যাওয়ার কথা ভাবছি না।”
জোকোভিচের এই উক্তি, তার দীর্ঘ পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষের দিকে চলে আসার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম