অভিষেক শর্মা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন অভিষেক ম্যাচের পরেরটিতেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। আজ দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ভারতের দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অভিষেক। দ্রুততম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে চূড়ায় আছেন সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ২৭ বলে সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হচ্ছেন এস্তোনিয়ার ব্যাটার সাহিল চৌহান।
অন্যদিকে পূর্ণ সদস্য দলের হিসাব ধরলে অভিষেকের সেঞ্চুরি দ্বিতীয় দ্রুততম। রোহিতের মতো সমান ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড মিলার।
বলের হিসেবে পূর্ণ সদস্যের দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম হলেও অন্য এক পরিসংখ্যানে রেকর্ড সেঞ্চুরি করেছেন অভিষেক। ইনিংসের ১০.১ ওভারের মধ্যে আর কোনো ব্যাটার সেঞ্চুরি করতে পারেননি। আগের রেকর্ডটি ছিল কুইন্টন ডি কক। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যখন সেঞ্চুরি করেন তখন ওভার ছিল ১০.২।
ইংলিশ বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দুটি রেকর্ড অবশ্য ঠিকই করলেন অভিষেক। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ও এক ইনিংসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছক্কা মারার কীর্তি এখন তার। ওপেনিংয়ে নেমে ১৮ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকা অভিষেক করেন ১৩৫ রান। মাত্র ৫৪ বল মোকাবিলায় সাতটি চারের সঙ্গে ১৩টি ছক্কা মারেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের আগের কীর্তিটি ছিল শুবমান গিলের। তিনি ২০২৩ সালে আহমেদাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৩ বলে অপরাজিত ১২৬ ইনিংস খেলেছিলেন।
অভিষেকের স্মরণীয় ইনিংসে চেপে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে পেয়েছে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানের বিশাল পুঁজি। এছাড়া, শিবাম দুবে ১৩ বলে ৩০ ও তিলক ১৫ বলে ২৪ রান করেন। অভিষেক ও তিলকের বিধ্বংসী দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪৩ বলে ১১৫ রান। সেখানে অভিষেকের একারই অবদান ২৮ বলে ৮৯ রান।
বিডি প্রতিদিন/মুসা