বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নতুন কমিটি গঠনের পর প্রথম পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। নির্বাহী কমিটির কেউ না হলেও বড় পদেরই রদবদল হলো। বাফুফের অর্থ কর্মকর্তা (সিএফএ) মো. সরফরাজ হাসান সিদ্দিকী পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র গৃহীতও হয়েছে। যা কার্যকর হবে ১০ এপ্রিল থেকে। তবে দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া হিসেবে সরফরাজ আরও তিন মাস কাজ চালিয়ে যাবেন। ফেডারেশনের ব্যাংকিং-সংক্রান্ত বিষয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা, এএফসি ও সাফের সঙ্গে সরফরাজের পরিবর্তে আর্থিক যোগাযোগ করবেন অর্থ বিভাগের আরেক কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল। সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার নির্বাহী কমিটির সব কর্মকর্তাকে এক বার্তার মাধ্যমে তা জানানো হয়েছে। বাফুফের প্রশাসনিক (বেতনভুক্ত) প্রধান নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক। তার পরেই অবস্থান অর্থ কমিটির। বিদেশি কোচিং স্টাফের বাইরে এ দুই প্রশাসনিক পদের জন্য মোটা অংক ব্যয় করে বাফুফে। গত কয়েক বছরে বাফুফে প্রধান অর্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ২০২৩ সালে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা নিষিদ্ধ করে। সেবার বাফুফে আর্থিক বিষয় নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কাজের মধ্যেই জুন-জুলাই মাসে তৎকালীন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন পদত্যাগ করেন। কয়েক মাস পরই সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা হিসেবে সরফরাজকে নিয়োগ দেন। এবার তিনিও পদত্যাগ করলেন। জানা গেছে নির্বাহী কমিটির অনেক সদস্যই তার কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না। এজন্য তাকে পদত্যাগ করার অনুরোধ করা হলে সরফরাজ স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান।