সমর্থকদের প্রায়ই বলতে শোনা যায়, জাদুকরের আর আক্ষেপ, অপ্রাপ্তি বা চাওয়ার আর কিছুই নেই। একজন মানুষ তার জীবনের সবকিছুই পেয়েছেন। তার ক্যারিয়ারের কোনো অপ্রাপ্তি নেই। রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি‘অরজয়ী তারকার হাতে একটা বিশ্বকাপ দেখতে চেয়েছিল তার সমর্থকরা। সেটাও উঁচিয়ে বিশ্বকে দেখিয়েছেন ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তাই হয়তো সমর্থকরা বলেন, তার আর পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে খেলা এই সুপার স্টারের জীবনে একটা আক্ষেপ রয়ে গেছে। সেটা আর কিছু নয়, বাড়ি ফেরার আক্ষেপ। প্রিয় ঠিকানা বার্সেলোনায় ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনার বিখ্যাত সাংবাদিক এনরিক উল্ফের ইউটিউব চ্যানেল ‘সিম্পলিমেন্ট ফুটবল’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘পিএসজির চুক্তি শেষে খুব করেই বার্সেলোনায় ফিরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি।’
সাবেক বার্সা তারকা মেসি বলেন, ‘এখানে আসার সিদ্ধান্তটি ছিল পুরোপুরি পারিবারিক। এই নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, মায়ামিতে এসেছি।’ ২০২১ সালে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বার্সেলোনা ছাড়তে বাধ্য হন মেসি। যোগ দেন পিএসজিতে। প্যারিসে থাকতেই ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অধরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পান তিনি। পরের বছরের জুনে পিএসজির চুক্তি শেষে দ্বিতীয় মেয়াদে তার বার্সেলোনায় ফেরার জোর গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তখন বার্সার কোচ শাভি এর্নান্দেসের সঙ্গেও ফেরা নিয়ে নিয়মিত কথা হয় মেসির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর, আমি বার্সা ছাড়া অন্য কোনো ইউরোপীয় দলের হয়ে খেলতে চাইনি। আমার লক্ষ্য ছিল ফিরে যাওয়া, আমার বাড়িতে ফেরা, যেখান থেকে সবকিছু শুরু হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তা সম্ভব হয়নি।’