হামজা দেওয়ান চৌধুরী এক ম্যাচ খেলেই বাংলাদেশের মন জয় করেছেন। ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে খেলেন তিনি। ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও হামজা যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন তা দেখে সবাই অভিভূত। আর এক হামজা ম্যাজিক দেখেই সরকারের উপলব্ধি হয়েছে এ মানের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় অন্য খেলায় পাওয়া গেলে হতাশা কাটিয়ে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। তাই আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যে দেশের সব ফেডারেশনকে জাতীয় দলে প্রবাসী ক্রীড়াবিদ অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া গ্রহণের তাগাদা দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি দেওয়া হয়েছে সব ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে। প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে হামজা মন জয় করলেও আগে থেকেই জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী জাতীয় দলে খেলেছেন। কানাডা প্রবাসী কাজেমও সুযোগ পেয়েছিলেন।
এ ছাড়া জিমন্যাস্টিকস, সাঁতার, বক্সিং ও অ্যাথলেটিকসও প্রবাসী খেলোয়াড়ের দেখা মিলেছে। ১৯৭৮ সালে ক্রিকেটে প্রবাসী খেলোয়াড়ও খেলেছেন। সুতরাং এ উদ্যোগ ফেডারেশনগুলো আগে থেকেই নিচ্ছে। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তাগাদা এই প্রথম।