ফুটবল এগারোজনের খেলা। অথচ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে আলোচনায় শুধু হামজা চৌধুরী। সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ২৯ জন ফুটবলার যে প্রশিক্ষণ করছেন তাদের নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। এদের মধ্যে ইতালি প্রবাসী ফাহমেদুল ইসলামও রয়েছেন। ১০ মার্চ সৌদিতে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার তিনি অনুশীলনে নেমেছেন। ইতালির চতুর্থ স্তরের ক্লাব অলিভিয়াতে তিনি খেলেন। এ ফরোয়ার্ডের জন্ম ফেনীতে। ইতালির চতুর্থ স্তরের ক্লাব হলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চেয়ে আকর্ষণীয় বলা যায়। সে ক্ষেত্রে ফাহমেদুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। বাংলাদেশ সম্পর্কে তার ধারণা কম। মোরসালিন, রাকিবরা তাকে দেশের ফুটবলের ধারণা দিচ্ছেন। এরপরও নিজেকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। অল্প দিনের প্রশিক্ষণে সতীর্থদের সম্পর্কে কতটা ধারণা নিতে পারবেন তা দেখার বিষয়।
ক্যাম্প বা অনুশীলনে হামজা নেই। তারপরও ভারতের বিপক্ষে তার খেলা শতভাগ নিশ্চিত। তবে ফাহমেদুল ভারতের বিপক্ষে সেরা একাদশে খেলবেন কিনা তা দেখার বিষয়।
হামজাকে ঘিরেই তো ভারতকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে। প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজীর জাতীয় দলে সেরা একাদশে খেলতে বেগ পেতে হয়নি। যোগ্যতাই তাদের বাংলাদেশ দলে ঠাঁই দিয়েছে। ফাহমেদুল ভারতের বিপক্ষে চূড়ান্ত দলে থাকবেন তা নিশ্চিত। সেরা একাদশে জায়গা পেতে হলে রীতিমতো পরীক্ষা দিতে হবে। রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন তো আছেনই। পিয়াস আহমেদ নোভা অভিষেকের স্বপ্ন দেখছেন। আবার আল আমিনকে ফেলে দেওয়া যায় না। পেশাদার লিগে দুর্দান্ত খেলছেন। প্রবাসী বলে কোচ কাবরেরা যদি ফাহমেদুলকে সেরা একাদশে রাখেন তাহলে ভিন্ন কথা। এ ক্ষেত্রে হয়তো বাফুফের ওপর মহলের গাইড লাইন থাকতে পারে। বাফুফে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুরোধেই নাকি ফাহমেদুল বাংলাদেশে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন।
কোচ পারফরম্যান্স যাচাই করে ভারতের বিপক্ষে সেরা একাদশ সাজাবেন। গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রীতি ম্যাচ খেলবে। এ ম্যাচ দেখেই কাবরেরা চূড়ান্ত দলের ধারণা পাবেন। ফাহমেদুল যদি খেলে থাকেন তার ওপর কোচের বিশেষ নজর থাকবেই। তবে সেরা একাদশে তাকে জায়গা পেতে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। শোনা যাচ্ছে ফাহমেদুল খুবই গতি সম্পন্ন খেলোয়াড়। এটাই হতে পারে তার প্লাস পয়েন্ট। কেউ কেউ আবার বলছেন হামজার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ফাহমেদুলকে দরকার রয়েছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।