ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে আজ থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ সময় কোনো বিশেষ দলের হয়ে কাজ না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একইসঙ্গে স্বচ্ছতার মাধ্যমে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন প্রক্রিয়া পুলিশকে ভুলে যেতে হবে।
রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পুলিশকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ধৈর্য্যের সঙ্গে মাথা ঠাণ্ডা রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় সকল বিষয় মোকাবিলা করতে হবে। আমরা কাজ কর্মে যত স্বচ্ছ থাকবো সাধারণ জনগণের কাছে তত আস্থা অর্জন করতে পারব।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে এ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে দেড় লাখের বেশি পুলিশ সদস্যকে।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তারও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেব।’
বাংলাদেশ পুলিশের দেশজুড়ে ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রেই নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ তথ্য জানিয়ে জিয়া উদ্দিন জানান, নির্বাচনী প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তারা দুটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন।
এর মধ্যে একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজুয়াল কনটেন্ট এবং একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম। পাশাপাশি একটি বুকলেটও তৈরি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ