অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দেশের বিভিন্ন জেলায় রাজস্ব কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে মাঠপর্যায়ে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ১৫৯টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৫২টি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত ১০৭টি অভিযান চালানো হয়েছে।
এনবিআর জানায়, জানুয়ারি মাসে এনবিআর ৫২টি তামাক বিরোধী অভিযান করে। এর মধ্যে ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (পশ্চিম) ২৪টি, রাজশাহী ১৭টি, ঢাকা (পূর্ব) ৪টি, কুমিল্লা ২টি, রংপুর ১টি অভিযান পরিচালনা করে।
অন্যদিকে ১ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে অভিযান হয়েছে ১০৭টি। অভিযানের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান ৩০টি, ১০ ফেব্রুয়ারি ২৩টি এবং ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে সবগুলো কমিশনারেট মোট ৫৪টি অভিযান পরিচালিত হয়। এরমধ্যে ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ) ৪টি, ঢাকা (উত্তর) ১টি, ঢাকা (পশ্চিম) ১০টি, চট্টগ্রাম ১২টি, রাজশাহী ১২টি এবং কুমিল্লা ৩টি অভিযান পরিচালনা করে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি এনবিআর এক আদেশে দেশব্যাপী দুই শতাধিক সার্কেল রাজস্ব কর্মকর্তাকে এই অভিযানের নির্দেশ দেয়। এতে ভ্যাট কমিশনের অধীনে প্রতিটি সার্কেলে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অবৈধ সিগারেট, গুল, জর্দা ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্য ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে। এতে একদিকে জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এনবিআরের মোট ভ্যাট আদায়ের ২৫ শতাংশ আসে সিগারেট, বিড়ি ও তামাকজাত পণ্য থেকে। তাই অবৈধ বাজার নিয়ন্ত্রণে এনবিআর বিশেষ নজর দিয়েছে।
এনবিআর জানিয়েছে, অভিযানের ফলে অবৈধ সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য বাজারে কমে আসছে। ফলে বৈধ পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। অভিযান চলমান থাকলে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম