ঘটনাটি ভারতের। দেশটির মধ্যপ্রদেশের গোয়ালির এলাকায় ঋষিরাজ ওরফে সঞ্জু জসওয়াল নামে এক ব্যক্তি পিস্তল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। মেয়ে পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করায় এ ঘটনা ঘটান তিনি।
জানা গেছে, তরুণীর মেয়ের নাম হর্ষিতা। তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে পরিবার তাকে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনে। তবে আদালতের কাছে গিয়ে ওই তরুণী জানান, তিনি বৈধভাবে এখন বিবাহিতা এবং তিনি তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান। এ ঘটনার পর থেকেই দুঃখ-কষ্ট ও বিষন্নতায় ভুগছিলেন তার বাবা সঞ্জু জসওয়াল।
এ পর্যায়ে তিনি পিস্তল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। তার মরদেহ পাওয়া যায় তার বেডরুমে। ওই সময় সেখানে একটি নোটও পাওয়া যায়। যেখানে মেয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথাবার্তা লিখে গেছেন তিনি।
ওই নোটে সঞ্জু জসওয়াল লিখেছেন, “হর্ষিতা, তুমি ভুল করেছো। আমি চলে যাচ্ছি। আমি তোমাদের দুজনকে হত্যা করতে পারতাম। কিন্তু আমি কীভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করব?”
তিনি আরও লেখেন, “তুমি যা করেছো, ঠিক করোনি। আর যে আইনজীবী অল্প কিছু টাকার জন্য পুরো পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে তার কী কোনো মেয়ে নেই? সে কি একজন বাবার কষ্ট বুঝতে পারে না? একটি পরিবার পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সমাজে এখন আর কিছু বাকি নেই।”
এছাড়া আইনি প্রক্রিয়ারও সমালোচনা করেছেন এই বাবা। তিনি নোটে লিখেছেন, “আর্য সমাজের অধীনে যদি একটি বিয়ে বৈধ না হয়, তাহলে আদালত কীভাবে একজন মেয়েকে তার সঙ্গীর সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে? তারা আমাদের পুরো পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। কেউ আমার কষ্ট বোঝেনি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিরঞ্জন শর্মা বলেছেন, “এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাপ্তবয়স্ক ওই তরুণী অন্য সম্প্রদায়ের এক ছেলেকে বিয়ে করেছিল। এ নিয়ে তার বাবা কিছু দিন ধরে বিষন্নতায় ভুগছিলেন। সুইসাইড নোটে এগুলোর ধারণা পাওয়া গেছে।”
আরেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ লালচন্দনি বলেছেন, সঞ্জু জসওয়ালের মেয়ে ১৫ দিন আগে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তাকে ইন্দোর থেকে খুঁজে বের করে আনা হয়। পরবর্তীতে ওই মেয়ে আদালতে জানান তিনি তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান। এ ঘটনার পর থেকে বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করেন তার বাবা। সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/একেএ