বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন আদর্শক সৈনিক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দলের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাত ১০টায় সিরাজগঞ্জ সরকারী ইসলামিয়া কলেজ মাঠে মির্জা আব্দুল জব্বার বাবুর নামাজে জানাযা পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
টুকু বলেন, মির্জা বাবুকে হারিয়ে মনে হচ্ছে আমার একটা পাঁজর ভেঙ্গে গেছে। বিগত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামে বাবুকে দলের যখন যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে। সে কখনো ফেল করে নাই।
বক্তব্যকালে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সকলের কাছে বাবুর জন্য দোয়া কামনা করেন এবং সেই সঙ্গে বাবুর পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
এর আগে, অ্যাম্বুলেন্স থেকে বাবুর মরদেহ তিনি নিজে নামিয়ে খাটিয়া কাঁধে নিয়ে জানাযাস্থলে নিয়ে যান। জানাযা নামাজে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিকলদলসহ হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসল্লিগন অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে পৌর শহরের মালসাপাড়া কবরস্থানে বাবুকে দাফন করা হয়।
জানাযা পূর্ব আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ও সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার (২৩ মারররচ) ভোরে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের হোসেনপুর মহল্লার বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৪৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ