অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় সিদ্দিকের পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। সিদ্দিককে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে পুরাতন রমনা থানার সামনে
এ ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সিদ্দিককে মারধর করে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তিনি কান্নাকাটি করছিলেন। পরে রমনা থানা পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। বিক্ষুদ্ধ জনতা সিদ্দিককে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে নানা স্লোগান দেয়। সিদ্দিককে যারা মারধর করে থানায় সোপর্দ করেছেন তারা কোনো দলীয় কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভিডিওতে একজন ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন, আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে, আমরা পুলিশে হস্তান্তর করছি। ডিএমপির রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আতিকুল আলম বলেন, মিন্টো রোড থেকে বিক্ষুদ্ধ জনতা আটক করে অভিনেতা সিদ্দিককে থানায় সোপর্দ করেছে।
জানা গেছে অভিনেতা সিদ্দিককে আটক করে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা ও হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পরে তাকে কয়েক দফায় মারধর করা হয়। থানায় নেওয়ার সময় টানাহেঁচড়ায় তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে যায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলা-হত্যার ঘটনায় গুলশান থানায় করা দুটি মামলায় তিনি আসামি বলেও জানা গেছে। প্রসঙ্গত, অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এই অভিনেতা।