জুলাই অভ্যুত্থান, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরের ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শহীদি সমাবেশ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। গতকাল বেলা ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে গণহত্যার বিচার শুরু এবং আওয়ামী লীগকে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ, শাপলা চত্বরের ঘটনা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন ও বিচার শুরু, পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের সুপারিশমালার বাস্তবায়ন এবং সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উত্থাপন করা হয়। ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, এই দাবিতে আগামী ১০০ দিন ৬৪ জেলায় গণসংযোগ চালানো হবে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ‘মার্চ ফর বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ থেকে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে। সমাবেশে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ সাইমের মা বলেন, ‘আমি শহীদের মা হয়ে বলছি, আওয়ামী লীগ যেন আর এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।’ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সংগঠক (উত্তর) সরজিস আলম বলেন, ‘এটা লজ্জাজনক যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেনি। আমরা নির্বাচন বা সংস্কার চাই না; আমরা কেবল প্রথমে ন্যায়বিচার চাই। যদি অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাদের হাতেও রক্ত লেগে থাকবে।’ ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (ইউপি বাংলাদেশ) এর প্রধান সংগঠক আলী আহসান মোহাম্মদ জুনায়েদ বলেন, ‘যারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়ে দুই হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা, ত্রিশ হাজারের বেশি আহত করেছে তারা রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে টিকে থাকার নৈতিক ও আইনি অধিকার হারিয়েছে।’ আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আওয়ামী লীগ এবং তাদের মিত্রদের ‘জীবন্ত মাফিয়া’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ করবে ১ হাজার ৪০০ শহীদের পরিবার। জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার অবশ্যই একটি জনসাধারণের তদন্তের মাধ্যমে শুরু করা উচিত। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার হতাশ করে চলছে।’
সমাবেশে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিরা ছাড়াও বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আবদুল ওয়াহেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।