তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তিজারাত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ স্টাডিজ কনফারেন্স’। কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সাবেক উপদেষ্টা ড. ইয়াসিন আকতাই বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় পাশে থাকবে তুরস্ক। কনফারেন্সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা গবেষকরা মোট ১২৫টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন, যা ২৬টি ভিন্ন প্যানেলে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়। গবেষণাপত্রগুলোর মূল প্রতিপাদ্য ছিল জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ ২.০ গঠনে নীতি প্রণয়ন, সংবিধান ও রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়া, খাতভিত্তিক সমস্যা-সম্ভাবনা বিশ্লেষণ এবং সমাধানের মডেল উপস্থাপন। কনফারেন্সে বক্তারা জানান, বিশ্বের বিভিন্ন বিপ্লব থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্রে রূপান্তরের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে তুরস্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ (সিপিএসআর)। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর তুরস্ক ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও সামরিক খাতে নতুন মাত্রা পেয়েছে। সিপিএসআর-এর সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবকে ঘিরে আয়োজিত এই সম্মেলন বাংলাদেশ নবনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কনফারেন্সে তুরস্কের সংসদ সদস্য দোয়ান বেকিন, সুইডেনের সাবেক মন্ত্রী মেহমেত কাপলান, ইস্তাম্বুল তিজারাত ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর নেজিপ সিমশেক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুল আলম, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান, ইউএস কাউন্সিল ফর মুসলিম অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ওসামা জামাল এবং ইসাম গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান অধ্যাপক ড. হোসেইন হুসনী কয়লু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিপিএসআর-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আ স ম মাহমুদুল হাসান ও গবেষক মাকামে মাহমুদ।