বগুড়ার শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রাইভেট কার ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরো দুজন। সোমবার ঈদের দিন দুপুরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
বগুড়ার শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. নুর হোসেন জানান মোটরসাইকেলে যোগে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিন বন্ধু। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ঝুপুনিয়া সেতুর মোড়ে তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের হিন্দু পানিসাড়া গ্রামের অলোক সরকার (২০), জয়ন্ত সরকার (২০) ও শুভ সরকার (১৯)। স্থানীয়রা ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অলোক সরকারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত জয়ন্ত সরকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুভ সরকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমেেপ্লক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। শরিফুল ইসলাম (৩২) তার মেয়ে সেজদাকে (৩) মোটরসাইকেলে নিয়ে মহাসড়কের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে যাওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক বাবা-মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের মহিপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে ঢাকাগামী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়ির দুই আরোহী মো. লিখন (২৮) ও মো. জীবন (৩০) আহত হন। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুর হোসেন আরো জানান, এসব দুর্ঘটনাগুলোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম