তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে নরসিংদী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে সন্ত্রাসীরা ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। আহতদের মধ্যে একজনকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ত্রাসীরা এক ব্যক্তির গলার অর্ধেক অংশ কেটে ফেলে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একজনের কাটা আঙুল উদ্ধার করেছেন।
আহতরা হলেন শহরের বানিয়ারছল এলাকার অটোচালক রমজান মিয়া, তার ছেলে রিফাত, মুহিম এবং সাঠিরপাড়া এলাকার ফয়সাল। এর মধ্যে ফয়সালের গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আহত রিফাত জানান, তিনি তার বাবা রমজান মিয়াকে নিয়ে অটোরিকশায় যাত্রীসহ বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে পৌঁছালে তাদের অটোরিকশার সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে রমজান মিয়ার কথাকাটাকাটি হয়।
কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এরপর মোটরসাইকেল চালক ফোন করে সন্ত্রাসীদের ডেকে আনে।
সন্ত্রাসীরা এসে দা, ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অটোচালক রমজান মিয়াকে আহত করে। তাদের বাঁচাতে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও কুপিয়ে জখম করে।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত চারজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় চারজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অসিম কুমার সাহা বলেন, “শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা-ছেড়াসহ গুরুতর জখম নিয়ে ৪ জন হাসপাতালে এসেছে। এর মধ্যে ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার গলায় গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।”
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদ হোসেন জানান, “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা শনাক্তের কাজ চলছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক