ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
তবে আইডিএফ দাবি করে জানায়, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশের আগেই মিসাইলটি প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
একদিন আগেই হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড জানায়, তারা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চারটি মারকাভা ট্যাঙ্ক এবং হেলিকপ্টারে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া জাবালিয়া এলাকায়ও হামলা চালানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কাসাম ব্রিগেড দাবি করেছে, তারা একটি ইসরায়েলি হেলিকপ্টারের দিকে রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে মসজিদ, হাসপাতাল, আবাসিক ভবনসহ প্রায় সব স্থাপণায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনভিত্তিক হুথি বিদ্রোহীরা।
এর আগে গত বুধবার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক নগরী তেল আবিব এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় আশকেলন শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও দুটি ড্রোন হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এর কয়েকদিন আগেই তেল আবিবে হুথিদের আরেকটি হামলায় ১৬ জন আহত হয়।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দু’জন নিহত হয়। ওই হামলার সময় সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলা, বোমাবর্ষণে গাজায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮৩ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। সূত্র: আল-জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/একেএ