দেশীয় নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এবং সফল নির্মাতার নাম সুমন আনোয়ার। পরবর্তী সময়ে অভিনেতা হিসেবে তাঁকে পাওয়া যায়। বিশেষ করে খলচরিত্রে তিনি বৈচিত্র্যময় ও অসাধারণ। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেল শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত সিনেমা ‘চক্কর-৩০২’-এ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
ফের নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি নিয়ে জানতে চাই।
চরিত্রটি ভিলেনের। গন্ডার বাবুর চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে মাদক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত থাকে। এইতো! বাকিটা হলে এসে দেখবেন। তবে আমি বলতে চাই, এটা একটা গুড টিম ছিল। শরাফ জীবন, খসরু, শিহাব, বীথি এমনকি মোশাররফ ভাইসহ প্রত্যেক কো-অ্যাক্টরের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধন বা টিম বিল্ডিং হয়েছে। খুবই বিউটিফুল জার্নি ছিল। এ ধারাবাহিকতা চলছে, চলবে। এটা একটা চক্কর। এ চক্করের মধ্যে আমরা আছি। এ চক্কর চলতেই থাকবে।
এ ধরনের চরিত্র অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। সে হিসেবে দর্শক রি-অ্যাকশনকে কীভাবে দেখেন?
চক্কর সিনেমায় যে চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি দেখেছি, ক্লাইমেক্সে এসে দর্শক আমার চরিত্রে, আমার সংলাপে খুব মজা পাচ্ছে, ইনজয় করছে। শো শেষে জড়িয়ে ধরছে। তরুণ, বয়স্ক এমনকি বাচ্চারাও আমার সঙ্গে ইন্টারেক্ট করছে। ভালোবাসা জানাচ্ছে। এটা একজন পারফর্মার হিসেবে বড় প্রাপ্তি।
একজন সফল নির্মাতা। এখন সফল ভিলেন, কী বলবেন?
নেগেটিভ চরিত্র বা ভিলেন, এসব চরিত্রের প্রতি দর্শকের একটা আলাদা মনোযোগ, আলাদা ভালো লাগা তৈরি হয়েছে। যেটি বিউটিফুল এবং তারা আসলে প্রতিটি চরিত্রের অভিনয়কে বিশ্লেষণ করে, কোন চরিত্র ভালো করল, কোন চরিত্র একটু অন্যরকম হলো-এভাবে তারা অভিনেতা-অভিনেত্রী ও ফিল্ম মেকারের সঙ্গে ইন্টারেক্ট করছে। যেটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাইন। আমি আশা করি, এটা ভবিষ্যতে এ পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে একটি অন্য লেবেলে নিয়ে যাবে।
দর্শকের রুচি বা ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিতেই কি এ খলচরিত্রের দিকে ঝুঁকছেন?
তা নয়। গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে পর্দায় হাজির হওয়া আর কি! তবে এ প্রশ্ন যদি দর্শকদেরও থাকে বা দর্শক যদি এভাবে আমাকে দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যায় তাহলে বলব, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো একদমই উল্টে পিঠের চরিত্রেও দর্শক আমাকে দেখবেন। আমার ধারণা যে, কোরবানির ঈদে দেখতে পাবেন।
এ কোরবানির ঈদে, সেটা কি ‘টগর’ সিনেমায়?
হাহাহা...এটা তো এখন বলা যাবে না। এটা চমক হিসেবেই থাক।
চরিত্র পোট্রেট করতে প্রস্তুতি কেমন থাকে?
প্রস্তুতি তো নিতেই হয় এবং প্রতিটি পারফর্মার বা আর্টিস্টের একটা নিজস্ব ধরনের প্রস্তুতির জায়গা থাকে। আমি যখন লিখি তখন আমার সেই লেখার এক ধরনের গবেষণা থাকে। সেটা নিয়ে এক ধরনের টাস্ক থাকে।
ঈদে তো আরও সিনেমা এসেছে...
আমার মনে হয়, সব সিনেমা ভালো করেছে। দর্শক ভিড় বাড়ছে এমনকি টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে, এটা তো আনন্দের। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য এখন খুবই ভালো সময় যাচ্ছে।