ভাঙ্গায় একস্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিং ও পরবর্তীতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা, চাচা ও ফুফাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। একই সাথে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত ওই ছাত্রীর বাবা গফফার মিয়া (৫৫), চাচা ছত্তার মিয়া (৬০) ও ফুফাতো ভাই তাইমুর মাতুব্বর (১৯)কে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের হাজী হাসিয়ার রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী (১৭) কে গত সপ্তাহ খানেক আগে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী সিয়াম মোল্লা (১৯), রিফাত মোল্লা (২০), সাকিব মোল্লা (২২) কে ইভটিজিং করে। বিষয়টি ওই স্কুল ছাত্রী বাড়ি এসে বাবা-মাকে জানায়। ওই ছাত্রীর বাবা-চাচা বিষয়টি ওই বখাটেদের অভিভাবকদের জানায়। এতে ওই বখাটেরা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে।
স্কুলছাত্রীর ছোটো চাচা আবু সাঈদ মিয়া বলেন, সিয়াম, রিফাত, সাকিব এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। আমার ভাতিজিকে এরা ইভটিজিং করে। বিষয়টি ওদের অভিভাবকদের জানাই। সর্বশেষ গত রবিবার রাত ১১ টার দিকে আমাদের বাড়ির সামনে এসে ওরা আতশবাজি ফোটায়। ২/৩ টি আতশবাজি বাড়ির ভিতরে নিক্ষেপ করে। এ সময় আমরা বাধা দেই। একপর্যায়ে ওরা চলে যায়। আমরা বিষয়টি পুনরায় ওদের অভিভাবকদের জানাই। এরপর সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওই তিন বখাটে সহ ১০-১২ জন এসে বাড়ির ভিতরে ঢুকে আমার দুই ভাই ও বেড়াতে আসা এক ভাগ্নেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমাদের বাড়ির ৩ টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
ওই ছাত্রী বলেন, ওই তিন বখাটে স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে ইভটিজিং করে। আজ আমার বাবা, বড় চাচা ও ফুফাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র ৩ জনকে কুপিয়ে জখম ও বাড়িঘর ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত পরিবারের সদস্যদের থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলেছি।
বিডি প্রতিদিন/এএম