গোপালগঞ্জে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টায় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনি, সকাল সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ৭১-এর বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
সকাল ৯টায় শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসন কর্তৃক আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামন। এসময় তার সাথে ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। এ অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তারা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান।
বাদ জোহর জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ ও জেলা মডেল মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনলায়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া জেলার সকল হাসপাতাল, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এদিন গোপালগঞ্জ শিশু একাডেমি কর্তৃক শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং জেলার বিভিন্ন মিলনায়তন এবং উন্মুক্ত স্থানে বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যক্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
দিনটি পালন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিশুপার্ক শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং বিনা টিকিটে প্রদর্শনেরও ব্যবস্থা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই