নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মোক্তারপাড়া মসজিদ কোয়ার্টারের নিজ বাসা থেকে সোমবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি নেত্রকোনা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ দিন পালিয়ে থাকার পর গত সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে নিজ বাসায় ফিরেন। পুলিশ খবর পেয়ে মধ্যরাতেই তাকে গ্রেফতার করে।
নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ জানায়, টুকু সদর উপজেলার মেদিনী কৃষ্টপুর গ্রামের বাসিন্ধা ও চুচুয়া মারাদিঘী গোলাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গাজী মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তিনি নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পুলিশ আরো জানায়, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় টুকুকে গ্রেফতারের করা হয়েছে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নেত্রকোনা সদর থানায় ছয়টি মামলাসহ সিরাজগঞ্জ জেলায় একটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি চাকরিজীবীকে মারধর ও অর্থ ক্ষতি সাধনের অপরাধে নেত্রকোনা সদর থানায় দুইটি এবং সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি টুকু।
এছাড়াও নেত্রকোনা সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা আরো দুইটি মামলার এজাহারনামীয় আসামিও তিনি।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, জেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের দায়ে বামনমোহা গ্রামের তারেক মিয়ার দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা টুকুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম