ঢাকার ধামরাইয়ে মাটি ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রকাশ্যে আবুল কাশেম (৫৯) নামে বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বড় হিস্যা জালসা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। আবুল কাশেমের বাড়ি ওই গ্রামেই। তিনি গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। ধামরাই থানা পুলিশ বলেন, মাটি ব্যবসায় আধিপত্য নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে জালসা এলাকায় আবুল কাশেম এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
কাশেমের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিপক্ষ তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী শাহিদা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর স্বামী হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন। তারা হলেন– গাংগুটিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন, তাঁর ভাই বিল্টু, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সাইম হোসেন, তাঁর ভাই আহাদ, মালেক, একই এলাকার আব্দুল জলিল, বাছেদ, আলী হোসেন, আব্দুল গফুর সহ ৯ জন অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বাদীর ভাষ্য, তাঁর স্বামীকে ৯ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দিনে দুপুরে মধ্যে হত্যা করে ওই এলাকায় লাশ ফেলে রাখে। ধামরাই থানার পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ে করেছে। এবং এই ঘটনার পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সাইম হোসেন, মোহাম্মদ আহাদ, আব্দুল মালেক, আব্দুল জলিল, বাছেদ মিয়া ও আলী হোসেন, এই ৫ জনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এদিকে কাশেম হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিকেলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এর আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আকসির নগর এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি কর্মী বাবুল হোসেন কে স্ত্রীর সামনেই পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একই এলাকার একটি পুকুর থেকে নিহত বাবুলের বাবা ইদ্রিস আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক