শরীয়তপুরের পদ্মা-মেঘনার ২০ কিলোমিটার এলাকার অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দুই মাস এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এরই মধ্যে অভয়াশ্রম এলাকা থেকে জেলেরা জাল-নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে সরে যাচ্ছেন। এই সময়ে জেলেদের প্রণোদনা হিসেবে ধাপে ধাপে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। এদিকে, দুই মাসের বেকারত্ব নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জেলেরা।
নড়িয়া সুরেশ্বর পদ্মা পাড়ের জেলে শাহ জাহান বেপারি ও সফিক আখন্দ বলেন, সরকার দুই মাস মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেই আদেশ আমরা মানবো। ইতোমধ্যে নৌকা-জাল ওপরে উঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সরকারের কাছে সব সময় দাবি থাকে, যাতে চালের সঙ্গে আর্থিক সহায়তা দেয়। কারণ চালের সঙ্গে রান্না করতে তেল-লবণ, তরকারিসহ আনুষঙ্গিক জিনিসের দরকার।
জেলেরা আরও বলেন, অধিকাংশ জেলে ধারদেনা ও কিস্তিতে জর্জরিত। এসময় কিস্তি বন্ধ থাকলে আমরা উপকৃত হবো। প্রশাসন যদি কিস্তি বন্ধ রাখে চাপ কমে আসবে।
নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা খাদ্য সহায়তার চাল পাবেন। নিবন্ধিত ১২ হাজার ৪'শ ৬৫ জেলেকে ১৩ হাজার ৩৭ মেট্রিকটন চাউল দিবেন। দুই কিস্তিতে প্রত্যেক জেলেকে ৮০কেজি করে চাল দেবে সরকার। এসময় জেলেরা নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করবেন।
এদিকে অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা টাস্কফোর্স। দুই মাস নিয়মিত জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ থেকে জেলেদের নিয়ে মতবিনিময়, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করেছি। কোনো জেলে যদি অসৎ উপায়ে মাছ ধরতে নামে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে টাস্কফোর্সের সদস্যরা পর্যায়ক্রমে ২৪ ঘণ্টা নদীতে টহল দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম