অবৈধভাবে বন্দী রাখা বন্যপ্রাণী উদ্ধারে আবারও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরী পার্কে অভিযান চালিয়ে ৪৮টি বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে ঢাকার বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের একটি বিশেষ টিম।
বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিনভর দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পার্কে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৪৮টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়। রাতে অভিযান শেষে প্রাণীগুলোকে ডুলাহাজরা ও গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযানে ৪৮টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ভাল্লুক ৫টি, মায়া হরিণ ৫টি, বানর ১১টি, সাম্বার হরিন ১৭টি, রাজধনেশ ৫টি, সজারু ২টি, ও ভোদর ১টি রয়েছে।
অসীম মল্লিক আরও জানান, ইতোপূর্বে গত ২৬ জানুয়ারি স্বপ্নপুরীতে ১ম ধাপে অভিযানে ৭৪টি বন্যপ্রাণী জব্দ করে ৫২টি বন্যপ্রাণী পার্ক কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু পার্ক কর্তৃপক্ষ সে সকল প্রাণীর পক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মঙ্গলবার দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অনুমোদনহীন ভাবে বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বন অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে, উদ্ধার প্রাণীগুলোকে যথাযথ পুনর্বাসনের জন্য গাজীপুর ও ডুলাহাজরা সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
অভিযান পরিচালনায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক ছানাউল্ল্যা পাটওয়ারী সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেন। অভিযানে দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি পার্কটিতে প্রথমবারের মতো অভিযান পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। সেসময় ৭৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২২টি প্রাণীকে বিভিন্ন সরকারি চিড়িয়াখানায় নেওয়া হয়। আর অবশিষ্ট ৫২টি বন্যপ্রাণী স্বপ্নপুরী কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়। কিন্তু স্বপ্নপুরী কর্তৃপক্ষ সেসব প্রাণীর পক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গতকাল অভিযান পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ