আরাকান আর্মি গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন দখলে নেওয়ার পর থেকে টেকনাফ স্থল বন্দরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পণ্য আমদানি। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুর ১২টায় কক্সবাজার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরুনতলীস্থল টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দর অচল হয়ে পড়েছে। যুদ্ধ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে বন্দরের অন্ধকার কেটে যাবে, খুব দ্রুত আলো ফিরবে। কারণ দুই দেশে পণ্যে চাহিদা থাকায় ফের পুরোদমে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় সচল হবে। সরকার সে বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
এ সময় তিনি স্থল বন্দরের শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে পরিবহন খাত অন্যতম। এখন পথে পথে চাঁদাবাজি, স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সেগুলো বন্ধের সময় এসেছে। তাই সবাইকে একসঙ্গে কথা বলতে হবে। কেননা আগে এক সরকার ছিল, এখন নতুন এক বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বতী সরকার কাজ করছে। আমরা চাই সব বৈষম্য দূর হোক। এটার কারণে আমি এখানে এসেছি।’
স্থলবন্দরে যাতে শ্রম আইন লঙ্ঘন না হয়, সেদিকে সবাই সতর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘শ্রমিকরা যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে এখানে (স্থলবন্দরে) কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় হতাহতের শিকার হন শ্রমিকরা। আমরা তাদের (শ্রমিকদের) সহায়তা করতে চাই। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। সেগুলো ফলো করতে হবে। তবে বন্দরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রথম অগ্রাধিকার দিতে হবে। এদের সবার একটা ডাটাবেজও করতে চাই।’
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা আলী আজগর মাঝি, টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক এনামুল হাসান, স্থল বন্দরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, যুগ্ম সচিব মাসুকুর রহমান, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন, বন্দরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন, ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, আমদানিকারক এনামুল হাসান ও শ্রমিক নেতা আলী আজগর মাঝি প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই