বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, মুহুরি এবং দোকানিদের কোলাহল ও দৌড়াদৌড়ির মাঝে শান্তির পরশ ছড়ায় আদালত ক্যাম্পাসের কয়েকটি ছায়া গাছ। প্রচ রোদ ও গরমে ক্লান্ত মানুষ গাছের নিচে বসে স্বস্তি পায়, আলাপ-আলোচনায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও করে।
বিচারাঙ্গনের ছায়াঘেরা গাছগুলো বিচারপ্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছে। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও হাজিরার অপেক্ষার মাঝে স্বস্তি পেতে গাছতলায় বসার জন্য বিচার বিভাগ পাকা জায়গা তৈরি করেছে, যাতে অনেক মানুষ একসঙ্গে বসতে পারে। সাধারণ মানুষের দাবি, আদালতপ্রাঙ্গণের খালি জায়গাগুলোয় আরও গাছ লাগানো হোক। পাশাপাশি এলোমেলো দোকান ও দোকানের ময়লা আদালতের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। এগুলো শৃঙ্খলার মধ্যে এনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অ্যাডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল বলেন, ‘ক্লান্ত বিচারপ্রার্থীদের বন্ধু এ গাছ। প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে আরাম করে বসে।’
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মান্নান জানান, ‘ইট-পাথরের আদালতে গরম আর ভিড়ের মধ্যে গাছ ও মানুষের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আরও গাছ লাগাতে জেলা জজকে অনুরোধ জানাব। আর ব্যবসায়ীদের ডেকে শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’