‘অর্থনীতি শিক্ষা, দেশ গড়ার দীক্ষা’ প্রতিপাদ্যে এবার চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াড ২০২৫। এতে অংশ নেন ৩০০ শিক্ষার্থী। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বাছাইপর্ব শেয়ে জাতীয় পর্যায়ে তারা নির্বাচিত হন। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম কলেজে শুরু হয় অলিম্পিয়াড পর্ব। স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় দুই ভাগে ভাগ করে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার দেওয়া হয়।
এতে স্কুল-কলেজ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন ঢাকার মাস্টারমাইন্ড স্কুলের সুহা আহসান, দ্বিতীয় হন গ্রিনহেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তানভীর ইসলাম ও তৃতীয় হন প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মিসবা জাকারিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে প্রথম হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এ এম আবির হাসান, দ্বিতীয় হন চবির জোনায়েদ সামী ও তৃতীয় হন ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাতিন ইলহাম। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে বিজয়ীরা ন্যাশনাল ক্যাম্পে অংশ নেবেন, সেখান থেকে নির্বাচিতরা যাবেন আজারবাইজানের বাকুতে ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস অলিম্পিয়াডে। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সেন্টার ফর ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভ (সিওয়াইএ)।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিবিষয়ক এ ধরনের অনুষ্ঠানকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণকে বিশ্ব অর্থনীতির বিশেষ অবদানস্বরূপ তরুণ প্রজন্মকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই। তরুণ প্রজন্ম অর্থনীতি নিয়ে ভাবলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে।’ সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াডের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াড নিছক এনজিও কাজ কিংবা ইভেন্ট নয়। এটি একটি সামাজিক আন্দোলন। একটি সুগঠিত জাতি গঠন করতে হলে নাগরিকদের অর্থনৈতিক বোধ প্রগাঢ় হওয়া বাধ্যতামূলক। ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াড দেশজুড়ে সেই সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে। তাই আমি অনুরোধ করব, চট্টগ্রামের মানুষদেরকে সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমে আরও বেশি সহায়ক ভূমিকা পালনের।’