বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প গ্রহণে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল রাজধানীর রেল ভবনে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেল অপারেশন ও সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রেলের লোকোমোটিভ ও কোচের সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত কোচ ও ইঞ্জিন সংগ্রহের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ২০০ কোচ সংগ্রহের যে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে তা দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানাকে অ্যাসেম্বলিং (সংযোজন) ও মেরামত কারখানায় রূপান্তর করতে হবে। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করতে হবে। এসব প্রকল্প গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতাও পরিহার করতে হবে। ক্রয়ধর্মী প্রকল্পের মেয়াদ এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহার করতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না মর্মে এ সময় তিনি সবাইকে সতর্ক করে দেন।
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে অনলাইন টিকেটিং সেবা প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজডটকমকে উপদেষ্টা আরও আন্তরিক ও সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সহজডটকমের প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে সহজডটকম যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তবে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যারা টিকিট কালোবাজারি করে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে রেলওয়ের একটি নিজস্ব ইন্টিলিজেন্স টিম থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।