ভয়েসেস ফর ইন্টারেক্টিভ চয়েস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট (ভয়েস) আয়োজিত এক নেটওয়ার্কিং সভায় বক্তারা ডিজিটাল ও নাগরিক পরিসরে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানীর ওয়াইডব্লিউসিএ বাংলাদেশ ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত এই সভায় বিশেষভাবে লিঙ্গভিত্তিক বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক, এনজিও, সিএসও, ডিজিটাল অধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার রক্ষাকারীদের একত্রিত হয়ে তথ্য আদান-প্রদান করা জরুরি। ডিজইনফরমেশন প্রতিরোধ এবং বাকস্বাধীনতা রক্ষায় সমন্বিত প্রচেষ্টা নিতে হবে।
ভয়েসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রমিতি প্রভা চৌধুরী সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও জেন্ডার ডিজইনফরমেশনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে বলেন, বাকস্বাধীনতা হুমকির মুখে। এটি রক্ষা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন স্পার্ক'র জেন্ডার লিড ডালিয়া চাকমা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শারমিন উর নাহার, নাগরিক উদ্যোগ'র প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাদীরা পারভীনসহ আরও অনেকে। এসময় তারা শিক্ষাব্যবস্থায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক দায়িত্ব সংক্রান্ত পাঠ্য অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, ডিজিটাল ও নাগরিক পরিসর যেন কেবলমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়, বরং কাউকে পিছনে না ফেলার নীতির ভিত্তিতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে। তারা বিদ্যালয়ভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানান যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে এবং নিরাপদ ডিজিটাল ও নাগরিক পরিসর নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ