ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমানসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়। একইসঙ্গে অপর সাতজন শিশু হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন সাইফুর রহমান রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ, শাহাদাত হোসেন, মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস, ছাব্বির আহম্মেদ আবির ও ফারহান। তাদের বাইরে সাতজনকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর পান্থপথে গত ৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওই আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জন পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেন। ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বেআইনি বলপ্রয়োগ করে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করেন। সেখানকার পিয়ন ইয়াসিন মৃধা তাদের পরিচয় জানতে চান। তখন তারা বলেন, ‘তোর মালিককে অফিস চালাতে হলে আমাদের চাঁদা দিতে হবে।’ তিনি প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষণাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করার মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করেন এবং অফিসে থাকা চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে আসামিদের মধ্যে কয়েকজন অন্যত্র রেখে আসেন। অফিস পিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ আসামিদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে নগদ ৩১ হাজার ১৫০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ৮৪টি কয়েন, দুটি চাকু জব্দ করে।
এ ঘটনায় গত ৭ মার্চ ওই প্রতিষ্ঠানের পিয়ন ইয়াসিন মৃধা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ