নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পাচারকালে বিলুপ্ত ততক্ষ উদ্ধার। বন্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের মোট ১২ জনকে আটক করেছে কলমাকান্দা থানার পুলিশ। পাচারকার্যে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইনে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রবিবার ভোরে চিনাহালা-বরুয়াকোনা সীমান্ত সড়কের চিনাহালা ব্রীজ এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিভিন্ন চোরাচালানের সাথে তক্ষকসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এসকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের চিনাহালা-বরুয়াকোনা সড়কের চিনাহালা ব্রীজ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাইক্রোবাসটি থামিয়ে তল্লাশি করলে গাড়ির ভেতর থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার এবং সঙ্গে থাকা ৯ জনকে আটক করা হয়। তাদেরকে সহয়তাকারী হিসেবে স্থানীয় আরও তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকদের মধ্যে ৯ জন দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্ধা। তারা হলেন, নরসিংদী সদরের মো. শফিকুল ইসলাম (৫০), তানভরি হাসান (২৫), মো. শাকিল মিয়া (২৭), এস এম শিবলুর রহমান (৪৪), মানিকগঞ্জের নুরুল ইসলাম (৪৩), নরসিংদীর আসমত আলী (৪৫), আব্দুল আজিজ (৬০), বরিশালের আব্দুল জলিল (৬৩), নরসিংদীর ফয়সাল (২৭)। এছাড়া কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরার স্থানীয় আলম, খালেক ও সুমন।
রবিবার দুপুরে কলমাকান্দা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদেরকে সহায়তাকারী স্থানীয় আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। গাড়িতে থাকা নয়জনের মধ্যে সকলেই নরসিংদী, মানিকগঞ্জ ও বরিশালের বিভিন্ন স্থানের বাসিন্ধা। মামলার পর তাদেরকে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করা হবে।
অন্যদিকে একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, তক্ষক পাচারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচারচক্র জড়িত থাকার আশঙ্কাও রয়েছে। এর আগেও এই সীমান্ত এলাকা থেকে পাচারকালে তক্ষক উদ্ধারসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম