ক্রীড়াঙ্গনে অনেক সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। তবে গতকালকে দিনটি ছিল ব্যতিক্রম ও স্মরণীয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতে বিপক্ষে মাঠে নামার অপেক্ষায় হামজা দেওয়ান চৌধুরী। উপস্থিত সাংবাদিকরাও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলেন। কেননা, এত বড় তারকা অতীতে কোনো সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায়নি। ক্রিকেটে অনেক বিখ্যাত খেলোয়াড় দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ফুটবল ইতিহাসে হামজাই বড় তারকা। হোটেলে প্রায় ৫০০ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এ এক নতুন রেকর্ডও!
ভারতের বিপক্ষে দল ঘোষণা ও বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু মঞ্চে মূল ফোকাস ছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তার পাশে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বসে ছিলেন। কাবরেরা ও জামাল ভাগ্যবান যে, এত বড় ফুটবলারের সঙ্গী হতে পেরেছেন। কোচ কাবরেরার মুখে হামজার নামই প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি হামজার কোচ হতে পেরেছি, এটাই আমার ক্যারিয়ারে বড় স্বীকৃতি। ও আসায় বাংলাদেশ দলের শক্তি বাড়বে কোনো সন্দেহ নেই। তবে লড়াইয়ে হামজাকে প্রমাণ দিতে হবে ও যে বড় মাপের খেলোয়াড়।’ প্রস্তুতি সম্পর্কে কাবরেরা বলেন, ‘সৌদি আরবে নিবিড় প্রশিক্ষণটা খুবই উপকারে এসেছে। সত্যি বলতে কী, এতে আমি যেমন সন্তুষ্ট, তেমনি খেলোয়াড়রাও। এজন্য বাফুফেকে ধন্যবাদ জানাই। এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে গ্রুপে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ছয় ম্যাচ খেলতে হবে। তবে আমাদের প্রথম টার্গেট ২৫ মার্চ। ভারতের মাটিতে ভারতকে কীভাবে সামলাব, সেটা নিয়েই ভাবছি।’ কাবরেরা বলেন, ‘সৌদিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্যাম্প হলো। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আমরা সবাই প্রস্তুত।’ ফাহমেদুল ইসলামের বাদ পড়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন আর তার দলে ফেরার সুযোগ নেই। তবে ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়। অনেক পর্যবেক্ষণ করেই তাকে দলে নেওয়া হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের বিপক্ষে না খেললেও ফাহমেদুলের বাংলাদেশে খেলার স্বপ্ন পূরণ হবেই।’