এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকার পর রাজধানীর চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে সেবা কার্যক্রম চলছে। তবে বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগ ও ইনডোর সেবা। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম বলেন, আমরা জরুরি বিভাগ চালু করেছি। তবে বহির্বিভাগ বা ইনডোরের সেবা দিতে পারব না এখন। নিরাপত্তার দাবিতে গত ২৮ মে কর্মবিরতি পালন করছিলেন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জরুরি বিভাগ ছাড়া নিয়মিত অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। এতে সেবাপ্রার্থীরা হট্টগোল শুরু করেন।
চিকিৎসক ও নার্সদের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় আনসাররা থামাতে গেলে হাতাহাতি হয়। স্টাফ ও সেবাপ্রার্থীদের মধ্যেও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ উত্তেজনা পুরো হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে ভিতরের সব ওয়ার্ডের কলাপসিবল গেট আটকে তালা দিয়ে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টিকে নিজেদের জন্য আতঙ্কের বা আক্রমণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় তালা ভেঙে জুলাই যোদ্ধারা লাঠিসোঁটা, রড হাতে চিকিৎসক, স্টাফ ও সেবাপ্রার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করেন। তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেন পঙ্গু হাসপাতালে থাকা জুলাই যোদ্ধারাও। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ প্রায় ১৫ জন আহত হন। আতঙ্কে চিকিৎসক নার্স ও স্টাফসহ বেশির ভাগই হাসপাতাল ছেড়ে যান। কেউ কেউ ভিতরে আটকে গেলেও সেনাবাহিনী এসে উদ্ধার করে। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। এরপর থেকে হাসপাতালে যাচ্ছেন না চিকিৎসক, নার্সসহ স্টাফরা।