২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়মিত কর প্রদানকারী ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের ওপর আরও বেশি করের বোঝা চাপানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। করহার বাড়িয়ে বিদ্যমান করদাতাদের ওপর চাপ না বাড়িয়ে করজালের আওতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সংগঠনটি। গতকাল এমসিসিআইয়ের ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন কমিটির চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদের পাঠানো বাজেট প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন অর্থ উপদেষ্টার জন্য এই বাজেট প্রস্তাবনা দুঃসাহসিক উদ্যোগ। তবে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, রপ্তানি সংকোচন, বিনিয়োগ স্থবিরতা এবং বৈশ্বিক অস্থিরতা বিবেচনায় বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। কর ব্যবস্থার ডিজিটালায়ন, অটোমেশন এবং কর প্রশাসনের কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া বাজেট বাস্তবায়ন দুরূহ। এজন্য কর প্রশাসনের দক্ষতা বাড়ানো ও সিস্টেম লস কমানোর পরামর্শ দিয়েছে এমসিসিআই।
বাজেটে টার্নওভারের ওপর করহার বাড়ানো, কার্যকর করহার না কমানো এবং ভ্যাট আইনের কাঠামোগত সংস্কারের অনুপস্থিতিতে হতাশা জানিয়েছে এমসিসিআই। তারা বলেছে, লাভ-ক্ষতি নির্বিশেষে ন্যূনতম কর আরোপ যুক্তিযুক্ত নয়। ব্যবসায় লাভ হলে তবেই কর প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কমানো, বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং ব্যাংকিং খাত থেকে অতিরিক্ত সরকারি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনায় উদ্বেগ জানিয়েছে এমসিসিআই। তাদের মতে, এসব কারণে বেসরকারি খাতে অর্থের ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়তে পারে।
এমসিসিআই মনে করে, অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের মাধ্যমে বাজেট বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন জরুরি। সংগঠনটি সরকারকে কর প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।