শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন বাড়ছে। এ সংকট কাটিয়ে ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকলে সেটা কাটানো যায়। কিন্তু বাংলাদেশে এখন অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা একসঙ্গে মিলেছে। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে। সামনে কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না যে, কবে এটা ঠিক হতে পারে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সঙ্গে যখন অনিশ্চয়তা যোগ হয় তখন কোনো কিছুর সম্ভাবনা থাকে না। এডিবি ও বিশ্বব্যাংক বলছে, এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তার মানে অর্থনৈতিক উন্নতির ন্যূনতম কিছু হচ্ছে না। শিল্প উৎপাদন, বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়ছে না। সবকিছু স্থবির হলেই ৭ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নামতে পারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। তিনি বলেন, আয়ের চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি। তার মানে কেউ সঞ্চয় করতে পারছে না। সঞ্চয় করতে না পারলে বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে। বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান হবে না। দরিদ্র আরও বাড়বে সামনে। এ পরিবেশ বজায় থাকলে আমাদের অর্থনীতি চরম পরিস্থিতির দিকে যাবে। তিনি বলেন, সরকার বলছে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৩১ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন হচ্ছে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং। কারখানায় বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। কীভাবে হবে বিনিয়োগ। ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি সেটা উন্নতি করার চেষ্টাও দেখা যাচ্ছে না। প্রশাসনিক হয়রানি একই আছে। এই দেশে কে বিনিয়োগ করতে আসবে? যদি কর্তৃপক্ষের কোনো দায়-দায়িত্ব না থাকে; তাদের ওপর কেউ আস্থা না পায়, কে আসবে এই দেশে বিনিয়োগ করতে? পুরো ব্যাংক খাতে ক্যানসার হয়ে আছে। একদিনে বা দ্রুত এর কোনো সমাধান নেই, হবেও না।